কি খেলে বাচ্চাদের পায়খানা নরম হবে

 

বাচ্চাদের পায়খানা নরম করার জন্য খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন করা যেতে পারে, তবে এটি নির্ভর করে শিশুর বয়সের ওপর। এখানে বিভিন্ন বয়সের জন্য উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া হলো:


১. ৬ মাসের কম বয়সী শিশু (শুধুমাত্র মায়ের দুধ বা ফর্মুলা দুধ পান করছে):

  • মায়ের দুধ: মায়ের দুধ পান করা শিশুর সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। তবে যদি সমস্যা হয়, মায়ের খাবারের তালিকায় বেশি আঁশযুক্ত খাবার (যেমন সবজি, ফল) এবং পানি যোগ করুন।
  • ফর্মুলা দুধ: ফর্মুলা খাওয়ানো শিশুর পায়খানার সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ফর্মুলার ব্র্যান্ড পরিবর্তন করা যেতে পারে।

২. ৬ মাস বা তার বেশি বয়সী শিশু (যারা সলিড খাবার শুরু করেছে):

  • পায়খানা নরম করার খাবার:
    • ফল: পাকা পেঁপে, নাশপাতি, আপেলের পিউরি (ছাল ছাড়া), এবং চেরি।
    • সবজি: মিষ্টি কুমড়ো, পালংশাক, গাজরের পিউরি।
    • ডাল/চাল পানি: হালকা মুগডাল বা চালের পাতলা পানি।
    • শুকনো ফল: ভেজানো ও গুঁড়ো করা কিশমিশ বা প্রুনের পিউরি।
    • ওটমিল বা জই: এটি হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
  • তরল খাবার: বেশি পানি, গরম স্যুপ, বা ফলের রস (যেমন— কমলালেবু বা নাশপাতির রস)।

৩. বয়স্ক বাচ্চারা (১ বছর বা তার বেশি বয়স):

  • আঁশযুক্ত খাবার:
    • শস্যজাত খাবার (যেমন ব্রাউন রাইস, ওটস)।
    • ডাল এবং শাকসবজি।
  • পানি: পর্যাপ্ত পানি পান করানো গুরুত্বপূর্ণ।
  • প্রোবায়োটিক: দই বা প্রোবায়োটিকযুক্ত খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে হজমে সহায়তা করে।
  • শুকনো ফল: কিশমিশ, প্রুন, বা খেজুরের সিরাপ।

কী এড়িয়ে চলবেন:

  • কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায় এমন খাবার: কলা (কাঁচা), চিজ, খুব বেশি চালের তৈরি খাবার।
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার: যেমন— জাংক ফুড বা চিপস।
  • চিনি এবং মিষ্টি পানীয়: এগুলো অন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়:

  • পায়খানা দীর্ঘ সময় কঠিন বা ব্যথাদায়ক হলে এবং ঘরোয়া পদ্ধতি কাজ না করলে দ্রুত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

সঠিক খাদ্য ও যত্নের মাধ্যমে বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করা সম্ভব।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url