১ মাসের শিশুর পায়খানা না হলে করনীয়
১ মাসের শিশুর পায়খানা না হওয়া অনেক সময় স্বাভাবিক হতে পারে, বিশেষত যদি সে শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করে। মায়ের দুধ সহজে হজম হয়, তাই কিছু শিশুর ক্ষেত্রে পায়খানার সময়ের মধ্যে ৪-৫ দিন বা কখনো কখনো এক সপ্তাহও বিরতি হতে পারে। তবে, এটি স্বাভাবিক কি না, তা নির্ভর করে শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর। নিচে কিছু করণীয় ও লক্ষণ উল্লেখ করা হলো:
১. যদি শিশুটি স্বাভাবিক থাকে:
- স্বাভাবিক লক্ষণ: শিশুটি যদি সুস্থ থাকে, খাওয়ার পরে স্বাভাবিক আচরণ করে, এবং পেট নরম থাকে, তবে চিন্তার কিছু নেই।
- মায়ের দুধের প্রভাব: মায়ের দুধ হজমযোগ্য এবং অনেক সময় তেমন বর্জ্য তৈরি করে না, ফলে পায়খানার ফ্রিকোয়েন্সি কমতে পারে।
- পাঁচ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা: মায়ের দুধ পান করা শিশুর পায়খানা ৫-৭ দিন পর্যন্ত না হলেও এটি স্বাভাবিক হতে পারে।
২. যদি শিশুটি অস্বস্তিতে থাকে:
- লক্ষণ: শিশুটি কান্না করে, পেট শক্ত মনে হয়, বা খুব বেশি কষ্ট পায়।
- পেটের ম্যাসাজ করুন: শিশুর পেটে ঘড়ির কাঁটার দিকে হালকা ম্যাসাজ করুন। এটি অন্ত্রের কার্যকলাপ উদ্দীপিত করতে সাহায্য করতে পারে।
- পায়ের ব্যায়াম: শিশুকে চিত করে শুইয়ে তার পা হালকা মুড়ে সাইকেল চালানোর মতো করে নাড়াচাড়া করুন।
- গরম কাপড় ব্যবহার: শিশুর পেটে হালকা গরম কাপড় রাখলে আরাম হতে পারে।
৩. যদি এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা গুরুতর হয়:
- ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন:
- যদি শিশুর পায়খানা ৭ দিন বা তার বেশি সময় না হয়।
- যদি পায়খানা কঠিন বা শুকনো হয় এবং শিশুকে খুব কষ্ট দেয়।
- যদি শিশুর পেট ফোলা বা শক্ত মনে হয়।
- পূর্ব সতর্কতা: কোনো ধরনের বাড়তি তরল বা ওষুধ দেওয়ার আগে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
৪. কৃত্রিম দুধ পান করা শিশুর জন্য:
- ফর্মুলা খাওয়ানো শিশুরা মায়ের দুধ খাওয়ানো শিশুদের তুলনায় পায়খানার ক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় পড়তে পারে। ফর্মুলার ব্র্যান্ড পরিবর্তন বা পানির সঠিক মিশ্রণের বিষয়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
যা করবেন না:
- নিজে থেকে শিশুকে কোনো ধরনের ওষুধ বা ল্যাক্সেটিভ (পায়খানা নরম করার ওষুধ) দেবেন না।
- শিশুকে কোনো ধরনের মধু, জল, বা বাড়তি কিছু খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।
যদি আপনার শিশুর অবস্থা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকে বা সে অস্বাভাবিক আচরণ করে, দ্রুত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য পেশাদার পরামর্শ সর্বদা সবচেয়ে ভালো পথ।