মিলনের আগে বীর্যপাত করলে কী পরবর্তী তে মিলনে বেশি সময় পাওয়া যায়?
কেন প্রি-ইজ্যাকুলেশন কৌশলটি ব্যবহৃত হয়?
যাদের দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা (প্রিম্যাচিউর ইজ্যাকুলেশন) আছে, তারা অনেক সময় প্রি-ইজ্যাকুলেশন কৌশলটি ব্যবহার করে থাকেন। প্রথমবার বীর্যপাতের পর, দ্বিতীয়বার মিলনের সময় দেহের উত্তেজনা কম থাকায় বীর্যপাত হতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগতে পারে। ফলে মিলনের সময়কাল দীর্ঘায়িত হয়।
প্রি-ইজ্যাকুলেশন কৌশলের সুবিধা
- দীর্ঘস্থায়ী মিলন: প্রথম বীর্যপাতের পর পুনরায় উত্তেজিত হতে সময় লাগে, ফলে দ্বিতীয়বার মিলনে সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে পারেন।
- মনোযোগ বৃদ্ধি: প্রথমবার বীর্যপাতের পর পুরুষের উত্তেজনা সামান্য কমে যেতে পারে, যা দ্বিতীয়বারের জন্য মনোযোগ বাড়াতে সহায়ক।
- আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: দীর্ঘ সময় ধরে যৌন মিলন করতে পারার ফলে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই কৌশল ব্যবহারের কিছু সতর্কতা
যদিও এই কৌশলটি কিছু ক্ষেত্রে কার্যকরী, তবে এটি প্রতিবার সঠিক ফলাফল দেবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ:
- প্রথম বীর্যপাতের পর কিছু পুরুষের পুনরায় উত্তেজিত হতে অনেক বেশি সময় লাগে, ফলে পরবর্তী মিলনে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে।
- অতিরিক্ত হস্তমৈথুন বা প্রি-ইজ্যাকুলেশন মানসিকভাবে ক্লান্তির কারণ হতে পারে, যা মিলনের সময়ে প্রভাব ফেলতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী মিলনের অন্যান্য কৌশল
বীর্যপাতের সময়কাল বাড়ানোর জন্য প্রি-ইজ্যাকুলেশন ছাড়াও কিছু কার্যকর কৌশল আছে, যেমন:
- শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ: ধীরে ধীরে এবং নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
- স্টপ-স্টার্ট পদ্ধতি: মিলনের সময় যখন বীর্যপাতের অনুভূতি আসে, তখন কিছু সময়ের জন্য বিরতি নিয়ে পুনরায় শুরু করা যেতে পারে।
- পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ (কেগেল এক্সারসাইজ): নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা কমানো যায়।
উপসংহার
মিলনের আগে বীর্যপাত করে সময় বাড়ানোর এই কৌশলটি কিছু পুরুষের জন্য কার্যকর হতে পারে, তবে এটি সকলের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। মিলনের সময়কাল বাড়াতে এই কৌশলটি চেষ্টা করার পাশাপাশি অন্য কিছু কৌশলও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে শরীর এবং মনকে আরামদায়ক রেখে মিলনের অভিজ্ঞতা উপভোগ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।